এদিন ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী। সেখানেই শ্রাবন্তীর বিজেপি ত্যাগ নিয়ে মুখ খোলেন বিধায়ক। তিনি বলেন, "বাড়ি থেকে বেরিয়েই দেখলাম শ্রাবন্তী বিজেপি ছেড়েছেন। ওটা দেখে আমার মনে হল. মদন মিত্র আজ যা ভাবে, বাকি রাজনীতিবিদরা তা ভাবে বহুদিন পড়ে।"
এখানেই শেষ নয়, এদিন শ্রাবন্তীকে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগতও জানিয়েছেন মদন মিত্র (Madan Mitra Srabanti Chatterjee)। বলেছেন, "দেরি নয়.চলে আসুন, স্বাগত।" দলত্যাগের পর শ্রাবন্তীকে উদ্দেশ্য করে একটি ট্যুইট-ও করেছেন মদন মিত্র(Madan Mitra Srabanti Chatterjee)। লিখেছেন, "ওহ লাভলি!" অন্য একটি ট্যুইটে কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন নিয়েও সমালোচনায় সোচ্চার হন কামারহাটি বিধায়ক।
দলত্যাগ প্রসঙ্গে শ্রাবন্তীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, বিজেপি করলে টলিউডে কাজ মেলে না। সেই কারণেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা।" তবে পালটা দিয়েছেন নুসরত, সায়ন্তিকারাও। তৃণমূলের কুনাল ঘোষ বলেন, শ্রাবন্তীর বিজেপি ত্যাগ প্রমাণ করল কেউ-ই বিজেপির সঙ্গে থাকতে পারে না।
উল্লেখ্য, এক সময় তৃণমূল (TMC) ঘনিষ্ঠ ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। তবে একুশের ভোটের (West Bengal Election) আগেই গত পয়লা মার্চ গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থীও হন। নির্বাচনে তাঁর বিপক্ষে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। এই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ ছিল বিজেপির অন্দরে।
TWEET যদিও তাতে গুরুত্ব দেয়নি দল। শ্রাবন্তীর প্রচারে এসেছিলেন খোদ অমিত শাহ। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন শ্রাবন্তী। তারপর থেকে আর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার একটি ট্যুইট করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বার্তা দেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Please Type Your Valuable Feedback.
EmojiKeep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.