লাগাতার বৃষ্টিতে ভিজছে তামিলনাড়ু। আবহাওয়াবিদদের মতে, প্রায় ৬ বছর বাদে নভেম্বর মাসে এমন বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সে রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন। মনে করা হচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বর্ষণের পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা তামিলনাড়ুর ২০ টি জেলায় জারি করা হয়েছে।
৯ টি জেলায় বন্ধ রয়েছে স্কুল। ৬ টি জেলায় প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে বন্যা নিয়ে। তবে তামিলনাডুর একাধিক জায়গা জলের তলাতে চলে গিয়েছে।
ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।অন্যদিকে টানা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নতুন করে বেশ কয়েকটি জায়গাতে মৃত্যুর খবর পাপয়া যাচ্ছে। ফলে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন ততপরতায় উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। প্রায় ৭৫ হাজার পুলিশ আধিকারিক, একাধিক সরকারি এজেন্সি সাহাজ্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। জল ভর্তি এলাকা থেকে আকাশ পথেও উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।
প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে তামিলনাড়ু জুড়ে। সেই সতর্কবার্তা জানান দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উল্লেখ্য, ছড়িয়ে ছিটিয়ে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও একটি জায়গায় প্রবল বর্ষণ হবে বলে মনে করছে না আবহাওয়া দফতর। তামিলনাড়ু জুড়ে বিস্তীর্ণ জায়গায় প্রবল বর্ষণ হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রকাশিত খবর বলছে, চেন্নাই সহ একাধিক শহরে গত রাতে ব্যাপক ভারী বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে নতুন করে একাধিক জায়গাতে জল জমেছে। উপড়ে পড়েছে গাছ। বন্ধ একাধিক রাস্তা। যদিও রাতেই জল বার করতে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
দুর্যোগের গতিপথ!
নভেম্বর মাসে এত বৃষ্টি! কার্যত এই ছবি দেখে কিছুটা অবাকই হচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। শুধু প্রাণহানী, মারাত্মক এক বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রাজ্যজুড়ে। জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি এবং বন্যার কারনে এখনও পর্যন্ত ১৫৭টী গৃহপালিত পশু মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১,১৪৬টি ছোট বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও দুশোর উপরে বড় বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টির পরিমাণ কমলে গটা রাজ্যেই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হবে।
বন্ধ ট্রেন পরিষেবা!
প্রবল বৃষ্টিতে ট্রেন পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। কয়েকটি জায়গাতে বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও।