প্রতি বিষয়ে ৯০ নম্বর করে দিতে হবে পরীক্ষা, মাধ্যমিকের টেস্ট নিয়ে ঘোষণা পর্ষদের

 উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary) টেস্ট হবে ৫০ নম্বরের। মাধ্যমিকের কত নম্বরে টেস্ট নেওয়া হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। বৃহস্পতিবার তা কাটিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রতি বিষয়ে আমাদের ৯০ নম্বর করেই টেস্ট হয়। এবারও তাই হবে।”

১৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুলগুলিকে টেস্ট পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। করোনার (Coronavirus) কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের সমস্ত স্কুল। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কিছুদিন খুলেছিল ক্লাস। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউতে ফের বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক হয়নি। হয়নি টেস্ট পরীক্ষাও। ওমিক্রনের খোঁজ মিললেও করোনা এখন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। ১৬ নভেম্বর নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস শুরু হয়েছে। ২০২২-এর মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সূচি প্রকাশিত। দু’টি পরীক্ষার আগেই টেস্ট হবে। দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে নির্দিষ্ট স্কুল। উত্তরপত্র দেখার দায়িত্বও স্কুলের। প্রতিদিন পরীক্ষা মিটলে প্রশ্নপত্র মেল করে পর্ষদে পাঠাতে হবে। বাছাই করা প্রশ্ন নিয়ে টেস্ট পেপার তৈরি করবে পর্ষদ।

কলকাতার বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে মাধ্যমিক দেবে শতাধিক ছাত্রী। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানিয়েছেন, “আমরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিলাম। ১৩ ডিসেম্বর থেকে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে।” শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ’র মত, করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল মাধ্যমিকের মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সংগঠনের সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “আমরা পরীক্ষার পক্ষে। কিন্তু পড়ুয়াদের সিলেবাস কিছুটা এগিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যেত।” স্কুল খোলার পরেই প্রতি বিষয়ের ৯০ নম্বরের পরীক্ষা না নিলেই ভাল হত বলে মনে করছেন সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সম্পাদক সৌগত বসু। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি টেস্টের প্রতি বিষয়ের মডেল প্রশ্ন দাবি করেছে।

সংগঠনের তরফে অনিমেষ হালদার বলেন, “ক্লাস শুরুর এক মাসের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা পরীক্ষার্থীদের কাছে খুব কষ্টকর। বহু ছাত্রছাত্রী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি। আমরা পর্ষদের কাছে মডেল প্রশ্ন দাবি করছি।” প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের তরফে চন্দন মাইতির বক্তব্য, “এত কম সময়ে প্রশ্ন তৈরি ও তা ছাপানো কষ্টকর। পর্ষদের নির্দেশমত এখন সপ্তাহে তিন দিন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ক্লাস হচ্ছে। আরও কিছুদিন ক্লাস করিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি এই পরীক্ষা নিলে সিলবাস কিছুটা শেষ করা যেত।” আরও কিছুদিন পরে টেস্ট পরীক্ষার দাবি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন