মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি NSQF LAB Assistant আঁটপুরের সুদীপ মিত্র।

আঁটপুর, পূর্ব বর্ধমান:
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ২১৮ জন NSQF ভোকেশনাল ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, “অ্যাডিশনাল ম্যান পাওয়ার” দেখিয়ে তাঁদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরে কেটে গেছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। এখনও ফিরে আসেনি তাঁদের কাজ, আসেনি কোন স্থায়ী সমাধান।


এই প্রেক্ষাপটে আঁটপুরের বাসিন্দা, ইতিহাসে এমএ পাস সুদীপ মিত্র সহ ২১৮ জন প্রাক্তন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্তি জানিয়েছেন—“দিদি, আমাদের বাঁচান। আমরা অসহায়।”

সুদীপ মিত্র জানান, “আমার বাবার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। ওষুধ কেনার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলেছি। মা দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন। দিদির কাছে বহুবার চিঠি পাঠিয়েছি, এমনকি কালীঘাট পর্যন্ত গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।”
বেকার অবস্থায় পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এই কর্মীরা। তাঁদের দাবি, সরকার যেন তাঁদের আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনে এবং NSQF প্রকল্পের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে পুনর্নিয়োগ করে।

এক প্রাক্তন কর্মীর কথায়, “আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে যুক্ত ছিলাম। আজ আমরা নিজেই ভবিষ্যৎহীন। মুখ্যমন্ত্রী যদি পাশে না দাঁড়ান, তাহলে আমাদের জীবন ও জীবিকা—উভয়ই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।”

সাংবিধানিক অধিকার এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, এই ২১৮ জন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে যেন তাঁদের কর্মজীবন পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন