৩ বছরের হতভাগ্য শিশুটির নাম কাইডেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ঘটনার তদন্তের পর, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কাইডেনকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন তার মা, ৩২ বছরের সাভানা ক্রিগার। তাদের মতে, সান আন্তোনিওর ওই পার্কে বিধ্বংসী ঘটনাটি ঘটার আগে মানসিকভাবে অত্যন্ত অস্থির ছিলেন সাভানা। পাগলের মতো আচরণ করেছিলেন। তাঁর বিয়ের ছবিকে গুলি করেছিলেন। প্রাক্তন স্বামীর বাসভবনে হানা দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন। প্রাক্তন স্বামীকে ভিডিয়ো কল ও টেক্সট বার্তা পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের মতে, এই মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ১৮ মার্চ বিকেলে। ওইদিন বিকেলে সাভানা ক্রিগার অফিস থেকে বের হওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল। যা, এই মা ও ছেলের হত্যা-অত্মহত্যায় শেষ হয়েছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ১৮ মার্চ বিকালে অফিস থেকে বেরিয়ে সাভানা ক্রিগার সরাসরি হানা দিয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে। কিন্তু, সাভানার প্রাক্তন স্বামী সেই সময় অফিসে ছিলেন। তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন সাভানা। সেই রাগে প্রাক্তন স্বামীর বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর করেছিলেন তিনি। এরপর সাভানা, তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে আসার পরও তাঁর রাগ কমেনি। সম্ভবত ব্যর্থ হওয়া বিয়ে নিয়ে মানসিকভাবে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তদন্তের সময়, সাভানার বিছানার উপর, তদন্তকারীরা তাঁর বিয়ের পোশাক এবং বিয়ের ছবি পেয়েছিলেন। স্থানীয় শেরিফ জানিয়েছেন, সাভানা ক্রিগার তাঁর বিয়ের ছবিতে দু-দুটি গুলি করেছিলেন।
এরপর, কোনও এক সময় তিনি ছেলেকে নিয়ে স্যান অ্যান্টোনিওর ওই পার্কে গিয়েছিলেন। সাভানার ফোন থেকে তদন্তকারীরা একটি ২১ সেকেন্ডের ভিডিয়ো উদ্ধার করেছেন। সেই ভিডিয়োতে ছেলে-সহ সাভানা ক্রিগারকে ওই পার্কে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। পরে, ওই একই জায়গা থেকে তাদের মৃতদেহ দুটি পাওয়া গিয়েছিল। ২১ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতেই সাভানা, ছেলেকে বলেছিল বাবাকে বিদায় জানাতে। সাভানার ফোন থেকে আরও বেশ কিছু ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। কোনও ভিডিয়োতে প্রাক্তন স্বামীকে উদ্দেশ্য করে সাভানা বলেছেন, “বাড়ি ফেরার জন্য তোমার আর কিছুই রইল না। সত্যিই কিছু রইল না। দিনের শেষে কী নিয়ে থাকবে তুমি? তোমার তো আর কিছুই রইল না।” প্রাক্তন স্বামীকে পাঠানো শেষ বার্তায় সাভানা বলেছিলেন, “ছেলেকে বিদায় জানাও তুমি।”