নিউজ ডেস্ক - হাত-পা থরথর করে কাঁপছে। এখনও ভাবতে পারছেন না এমন একটা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে। চারিদিকে কান্নার রোল। বিভিন্ন ধরনের কথা, চাপা একটা উত্তেজনাও কাজ করছে। তবে কার্যত দিশেহারা। কারণ কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেনে ভিতরে ছিলেন তিনিও। হয়ত তাঁর সঙ্গেও খারাপ কিছু হতে পারত।
ওই ব্যক্তি বললেন, “আমি বি-১ কোচে ছিলাম। হঠাৎ একটা ঝাঁকুনি হয়েছে। এবার সকলে চিৎকার করে বলছে অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে…অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। সবাই কাঁদছে। আমি বাইরে গিয়ে দেখছি অনেকের লেগেছে। আমার নিজের মাথায়ও চোট লেগেছে। দৌড়ি পিছনের বগিতে গিয়েছি দেখছি দু থেকে তিনজন মারা গিয়েছে।” আরও একজন বললেন, “একই ট্র্যাকে দুটো গাড়ি থাকা উচিৎ ছিল না। বিশাল জোরে ধাক্কা লেগেছে। আমি বি-টু-তে ছিলাম। সবাই পড়ে গিয়েছে। আমি গেটে চলে যাই। যা অবস্থা বলতে পারছি না…”
উল্লেখযোগ্য বিষয়, আজ সকাল ৯টা নাগাদ আচমকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ জনের। আহত একাধিক। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ১০০-১১০ কিলোমিটার। ক্রসিং পেরিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়িটি। তখনও গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার ছিল বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে সিগন্যাল ফেল করলেন চালক? যান্ত্রিক গোলোযোগ, নাকি চালকের ত্রুটি, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।