নিউজ ডেস্ক - রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যার জেরে হাসপাতালে সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। আর এই পরিস্থিতিতে বালুরঘাট হাসপাতাল ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।
পরিবারের দাবি,সোমবার সকালে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার সময় মতো চিকিৎসা না করায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে বালুরঘাট হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, প্রায় ২ ঘন্টা পর যান চিকিৎসক৷ ঘটনার প্রতিবাদ করতে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালান প্রতিবাদীরা। ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। এই বিষয় নিয়ে হাসপাতাল সুপার ও স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৃতের শিশুর পরিবার লিখিত অভিযোগ দায় করবে বলে জানা যাচ্ছে ।
জানা গিয়েছে, আট বছরের সোমবার ভোর চারটে নাগাদ পরিবারের লোকেদের সঙ্গে পতিরামে শিবমন্দিরে জল ঢালতে যাচ্ছিল। সেই সময় পেছন থেকে একটি টোটো গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারলে গুরুতর জখম হয় ওই শিশু। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চার ঘণ্টা ধরে ওপিডিতে অপেক্ষা করার পরও চিকিৎসকের পাওয়া যায়নি । ফলে মৃত্যু হয় এক যুবকের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে ,আউটডোর বিভাগে চিকিৎসা করিয়ে রোগীর ভর্তি করার কথা থাকলেও সেখানে চিকিৎসক না থাকার কারণে দেরি হয়ে যায় আর মৃত্যু হয় ওই রোগীর। মৃত ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্যের দাবি, “আমাদের পেশেন্টের মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। আমরা সকাল ৮টা নাগাদ ভর্তি করি। ডাক্তার দেখতে আসে সাড়ে ১২টা নাগাদ। তাহলে কীভাবে বাঁচানো যায়!”বালুরঘাট হাসপাতালের মতো আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দিন দুয়েক ধরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। ফলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিবার।