নতুন দিল্লি, ২৩ জুন — ধর্মীয় পরিচয়ে আস্থা জাগিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ফুরফুরা শরীফের এক পীরজাদা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে ধর্মীয় গুরু বা ফুরফুরার পীরজাদা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেছেন।
দিল্লি পুলিশের সরিতা বিহার থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ফুরফুরার বেলপাডার বাসিন্দা সৈয়দ নাজিমুদ্দিন হুসেইনকে। ২দিন পুলিশ হেফাজতের পর তিহার জেলে বন্দি ঐ ব্যক্তি ।
অভিযোগ দিল্লির এক ব্যক্তির থেকে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ঐ পীরজাদা। ২০২৪ সালে অক্টোবর মাসে অভিযোগ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে বাংলা ও আশেপাশের রাজ্যগুলোতে এই ধরণের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ভুক্তভোগী আবরার সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বারবার নোটিশ পাঠিয়ে ডাকা হলেও তিনি হাজিরা দেননি।
সম্প্রতি আগাম জামিন পেতে তিনি দিল্লি গিয়ে আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ নাজিমুদ্দিন হুসাইনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে প্রতারণার প্রমাণ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তার ব্যাংক লেনদেনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা । তবে এখনো এ বিষয়ে ফুরফুরা শরীফের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে
অভিযুক্তের পরিবারের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে গেছেন ফিরতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লাগবে। তাকে বারবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এই ঘটনার তদন্ত চলার পাশাপাশি, আরও ভুক্তভোগীদের সামনে এসে অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ