নিউজ ডেস্ক - ২০১৮ সালে অমিত শাহকে ‘হত্যায় অভিযুক্ত’ বলায় আজ প্রায় ৬ বছর পর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ছেড়ে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরের এক বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আদালত তাঁকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য হেফাজতেও নেয়। তারপর রাহুল গান্ধী জামিনের আবেদন করতেই, আদালত তা মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময়, বেঙ্গালুরুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজয় মিশ্র নামে এক ব্যক্তি। বিজয় মিশ্র আদালতে জানান, ২০১৮ সালে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, বিজেপি সৎ এবং স্বচ্ছ্ব রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেয়। অথচ, দলের সভাপতি পদে রয়েছেন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। সেই সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদে ছিলেন অমিত শাহ। ২০০৫ সালে এক ভুয়ো এনকাউন্টারে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল অমিত শাহর বিরুদ্ধে। তবে ২০১৪ সালে, তিনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন, মুম্বইয়ের এক বিশেষ সিবিআই আদালত অমিত শাহকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। এই অবস্থায় দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিজেপির তৎকালীন সভাপতিকে খুনি বলাটা অযৌক্তিক এবং মানহানিকর বলে দাবি করেন অভিযোগকারী।