ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের তুমকুরে। গত পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্বামী স্ত্রাীকে খুন করেন। রাগের বশে কাস্তের কোপে ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেন। এরপর শরীর থেকে টেনে আলাদা করেন চামড়া। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত জানিয়েছেন যে স্ত্রী খাবার দিতে অস্বীকার করাতেই খুন করেছেন তিনি।
ঘটনাস্থলে পুলিশ যখন পৌঁছয়, তারা দেখতে পান যে গোটা ঘর রক্তে ভাসছে। এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। পেটের নাড়িভুড়ি, হাতের শিরা দেখা যাচ্ছে। পাশেই রাখা রয়েছে চামড়া ও কাটা মুণ্ড। এরপরই ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তিনি শিবরামা একটি কারখানায় কাজ করেন। কিন্তু উপার্জন নিয়ে প্রায়দিনই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকত। গত সোমবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়। স্ত্রী খাবার দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই আরও অশান্তি বাড়ে। রাগের বশে স্ত্রীকে প্রথমে ছুরি দিয়ে খুন করেন স্বামী। এরপর কাস্তে দিয়ে মাথা থেকে দেহ আলাদা করে দেন। তারপরও থামেননি অভিযুক্ত। এরপর দেহ থেকে চামড়া আলাদা করতে শুরু করেন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এই কাজই করেন অভিযুক্ত। এরপর বাড়িওয়ালা ও কাজের জায়গায় খবর দেন। গোটা ঘটনার সময়ই ঘুমিয়ে ছিল অভিযুক্তের আট বছরের বালক।