নিজস্ব সংবাদদাতা, আরামবাগ | ১৮ মে ২০২৫
আরামবাগে টোটো ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিককে হুমকির মুখে পড়তে হল বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে—সংবিধানের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’‐এর উপরে ফের আঘাতের অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিক মহল।
কী ঘটেছিল?
গত ১৫ মে রাতে আরামবাগ পোস্টের প্রতিনিধি মিলন সাঁতরা বাসস্ট্যান্ডে যান খোঁজ নিতে—কেন রাত ১০টার পর হঠাৎ টোটো ভাড়া বাড়ছে। সেখানেই টোটো ইউনিয়নের ‘মৌখিক সম্পাদক’ পরিচয় দেওয়া শেখ সাদ্দাম সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। ওই রিপোর্ট প্রকাশিত-সম্প্রচারিত হওয়ার পর, অভিযোগ অনুযায়ী, সেদিনই সন্ধ্যায় সাদ্দাম সাংবাদিক সুরোজ আলি খানকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
অভিযোগ-পাল্টা বক্তব্য
সুরোজ আলি খান, সাংবাদিক: “যেকোনও সময়ে হামলার আশঙ্কা রয়েছে, তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিলাম।”
শেখ সাদ্দাম, অভিযুক্ত টোটো চালক: “টোটোর ভাড়া বাড়েনি। আমার নামে মিথ্যা প্রচার চলছে; অভিযোগ হোক, আপত্তি নেই।”
সফিকুল আলম (লিটু), আইএনটিটিইউসি, আরামবাগ: “শেখ সাদ্দামের কোনও দলীয় পদ নেই। ভাড়া বাড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না; ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, দ্রুত সংশোধন হবে।”
পুলিশ কী বলছে?
আলামবাগ থানার এক আধিকারিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে সাদ্দামকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সাংবাদিক মহলের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় প্রেস ক্লাব থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, “সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হুমকি পাওয়ার ঘটনা গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে। দ্রুত কড়া পদক্ষেপ চাওয়া হচ্ছে।”
পরবর্তী পদক্ষেপ
পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে। অপর দিকে, টোটো ভাড়া নিয়ে যে ‘ভুল’ হয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে, তা কত দ্রুত ও কীভাবে সংশোধিত হয়, সেদিকেও নজর রাখছে প্রশাসন।
এই ঘটনার জেরে আরামবাগে টোটো শ্রমিক ও যাত্রী—উভয় পক্ষেই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সাংবাদিক সমাজ প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করেছেন।
Tags
নিউজ ডেস্ক