কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা?
RCB দলের বাস বিমানবন্দর থেকে হোটেলের দিকে রওনা দেওয়ার সময় থেকেই হাজার হাজার সমর্থক রাস্তার দুই ধারে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পরে বিধান সৌধ হয়ে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার সময় উত্তেজনা চরমে ওঠে।
স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য যাঁদের পাস ছিল, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা থাকলেও বিপদ বাধে তখন, যখন হাজার হাজার পাসবিহীন সমর্থক জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়ি। একমাত্র প্রবেশদ্বারেই উপচে পড়ে ভিড়। গেটের একাংশ চাপের মুখে ভেঙে পড়ে।
পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায়। ভিড় নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করা হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে। পদপিষ্ট হয়ে পড়ে যান অনেকেই। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ১০ জনের। আহতদের মধ্যে বহুজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কী বলছে প্রশাসন?
বেঙ্গালুরু ট্রাফিক পুলিশ আগেই সতর্ক করেছিল ভিড় নিয়ে, কিন্তু মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে যে চরম গাফিলতি ছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মাত্র একটি প্রবেশপথ থাকা, এবং সেই পথেই নিরাপত্তা বাহিনীর অভাব, এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
উদযাপন বন্ধ হয়নি!
সবার চরম ক্ষোভের জায়গা এখানেই। বাইরে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটলেও, স্টেডিয়ামের ভেতরে চলতেই থাকে ট্রফি জয়ের উল্লাস। বিরাট কোহলি ও RCB খেলোয়াড়দের বিজয় সেলিব্রেশনে কোনও ছেদ পড়েনি, যা ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “যখন বাইরে প্রাণ যাচ্ছে, তখন ভেতরে উদযাপন চলবে কীভাবে?”
রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই দাবি করছেন, তিনি এবং প্রশাসন পুরো ঘটনার গুরুত্ব বুঝতেই ব্যর্থ হয়েছেন। এতবড় জনসমাগম, এত বড় উন্মাদনা — অথচ নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, নেই ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।