হরিপাল থানার অন্তর্গত নালিকুলের হরিহরপুর পূর্ব পাড়ায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গতকাল রাতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ২৫টি সারমেয়কে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচটি কুকুর নিখোঁজ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাঁচটি কুকুরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পৌঁছতেই পশু কল্যাণ সংস্থা 'আশ্রয় হোম অ্যান্ড হসপিটাল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'-এর পক্ষ থেকে হরিপাল থানায় ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সংস্থার সদস্যরা থানাতেও উপস্থিত হন এবং পুলিশের কাছে মৃত সারমেয়দের ময়নাতদন্ত এবং জীবিতদের চিকিৎসার দাবি জানান।
সংস্থার সদস্য অভিষেক ঘোষ জানান, “স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেই আমরা প্রথম এই খবর পাই। নৃশংস এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” সংস্থার সহ-সম্পাদক বিভাস গুপ্ত বলেন, “প্রতিদিন অসভ্য কিছু মানুষের আক্রোশের শিকার হচ্ছে নিরীহ পশুপাখি। তথাকথিত শিক্ষিতরাও বোঝেন না—জীবন সকলেরই অধিকার। পৃথিবী কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।” সংস্থার সম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, “পশু নির্যাতন ও হত্যার বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইন চাই। প্রতিটি অপরাধের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা খুব শীঘ্রই আইনমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানাব।”
এদিকে, রাতেই হরিপাল থানায় অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত কুকুরগুলোর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায় ও পশুপ্রেমী মহলে।