নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল থেকে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলছিল। বিধায়ক হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য রুনা বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ বালি মাটি পাচারের অভিযোগ করে । পাল্টা রুনা তোপদাকেন বিধায়ক জনগণের কাজ না করে ব্যক্তি কুৎসা এবং দলকে হেয় করতে চাইছেন বলে । এরপরেই বিধায়ক সামাজিক মাধ্যমে লেখেন ৭ তারিখ দলীয় কার্যালয়ে বসে ফেসবুক লাইভ করে এর শেষ জবাব দেবেন। এরপরেই গতকাল তৃণমূল বিধায়ক এর কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে রুনার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা হয়। এরপরেই বিধায়ক বেনজির আক্রমণ করেন রুনাকে। সেখানে তিনি ব্যবহারের অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ করেন যুব নেত্রীকে । বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার বেলা বারোটায় বলাগর থানায় এসে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে যান রুনা খাতুন। তিনি বলেন, পুরো নারী জাতিকে অপমান করেছে। তিনি আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তার কোন প্রমাণ তার কাছে নেই। তিনি ফেসবুকে না লিখে থানায় বা দলকে জানাতে পারতেন । তার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই তিনি শুধু দলকে বদনাম করার জন্য এটা করছেন। আমার মনে হয় উনি বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অথবা কোন ব্যবসায়ী হাতে বলাগরকে তুলে দিতে চাইছেন অসৎ উদ্দেশ্যে।
এত কিছুর মধ্যেই নতুন করে সকালে ফের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন মনোরঞ্জন বেপারী। সেখানে তিনি লেখেন, আমাকে চোর খুনি ধর্ষক বলে আক্রমণ করা হয়েছিল, তাই আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। এমন একটা বাজে শব্দ লিখে ফেলি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝতে পারি মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে। সাথে সাথে সেটা মুছে দি। কয়েকজন আছে যারা শকুনের মতো আমার প্রোফাইলে নজর পেতে বসে থাকে। তারা সেটার স্ক্রিনশট নিয়ে নেয় এবং আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে থাকে। অনেকেই আমার কাছে জানতে চাই এটা কেন লিখেছি, তাদের জানাচ্ছি এটা আমার একটা মস্ত বড় ভুল হয়েছে। এমনটা লেখা সত্যিই আমার উচিত হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিত হয়নি আমি একজন লেখক। ওদের মতো মিচুয়াল নিকৃষ্ট জীব নই। আমার পাঠক প্রিয়জন, পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষের সমস্ত পরিচিত অপরিচিত সবার কাছে আমি ক্ষমা পার্থনা করছি।
যে এলাকায় বিধায়কের অফিস ভাঙচুর হয়েছিল সেই এলাকায় রুটমার্চ।হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি দেবীদয়াল কুন্ডু,সিআই মগরা শ্যামল চক্রবর্তী,ওসি বলাগর কিরণ মুখার্জি রয়েছেন।পুলিশ র্যাফ জিরাট হাসিমপুর, হসপিটাল রোড,আহমেদপুর হয়ে বিরাট বাসস্ট্যান্ডে রুট মার্চ চলে।