নিউজ ডেস্ক -একটি নয়, একইসঙ্গে একাধিক ‘টার্গেট’-কে নিশানা করে আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর সেই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উড়ানে সাফল্য লাভ করল ভারত। 'মাল্টিপল ইন্ডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল' প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের নিজস্ব ব্যালিস্টিক অগ্নি-৫ মিসাইলের ‘টেস্ট ফ্লাইট’ হয়। তাতে সাফল্য পাওয়ায় ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংরা। মোদী বলেছেন, "মিশন দিব্যাস্ত্রের জন্য আমাদের ডিআরডিওয়ের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্ববোধ হচ্ছে। যা মাল্টিপল ইন্ডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল প্রযুক্তির (MIRV) মাধ্যমে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান।"
সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, বিশ্বের কয়েকটি দেশের কাছেই 'মাল্টিপল ইন্ডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল' প্রযুক্তি আছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল ভারতও। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হল, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একইসঙ্গে একাধিক জায়গায় আক্রমণ চালানো যাবে। তার ফলে ভারতের সামরিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পেল। বিশেষত চিন এবং পাকিস্তানকে বড় বার্তা দেওয়া গেল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
কারণ এতদিন কোনও ব্যালিস্টিক মিসাইল একটি 'টার্গেট' নিশানা করতে পারত। কিন্তু 'মাল্টিপল ইন্ডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল' প্রযুক্তির ফলে একইসঙ্গে একাধিক 'টার্গেট' নিশানা করে হামলা করা যাবে। অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হল ৫,০০০ কিলোমিটার। ভারতের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার স্বার্থে সেই মিসাইল তৈরি করা হয়। আর ওই মিসাইলের পাল্লা যে কতটা বেশি, তা সহজেই একটি বিষয় দিয়ে বোঝানো যাবে। চিনের একেবারে উত্তরের অংশ, ইউরোপের একাংশ-সহ প্রায় পুরো এশিয়া মহাদেশেই ‘টার্গেট’-কে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র। অন্যদিকে, অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ছিল ৭০০ কিলোমিটার থেকে ৩,৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে।