নিউজ ডেস্ক : হুগলি জেলার অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চল বলে খ্যাত ডানকুনির নিকাশি ব্যবস্থার হাল যে কতটা সঙ্গীন তা একমাত্র এই পুর এলাকার বাসিন্দারাই জানেন। আর জানেন এই শহরের বুকে প্রতিনিয়ত যাঁদের যাতায়াত। রাজ্যের অন্যতম ফ্রেট করিডোর ডানকুনির নিকাশি ব্যবস্থায় মুখ্য ভূমিকা যে সেচ খালটির, সেটিই আজ মৃতপ্রায়।
বিগত কয়েক বছরে এই খালটির পাড়ে গড়ে ওঠা খাটালের খাটাল মালিকদের বদান্যতায় আজ খালটি আর খাল নেই, গঙ্গা থেকে প্রবাহিত জল আজ ফল্গু নদীর মতো গোবরের মোটা আস্তরণের নিচ দিয়ে নীরবে বয়ে চলেছে। প্রচুর পরিমান গোবর প্রতিনিয়ত জমা হচ্ছে এই খালে। এখন এই খাল হয়ে উঠেছে স্থানীবেশ কিছু মানুষদের গোচারণ ভূমি হিসেবে। প্রায়শই খালের বুকে দেখতে পাওয়া যায় ছাগল, গরু চড়ে বেড়াতে।
যদিও স্থানীয় ডানকুনি পৌরসভা মাঝে স্থানীয় মানুষদের চাপে পড়ে কিছুটা হলেও নিমরাজী হয়ে এই খাল পরিষ্কার করায়, কিন্তু পরিষ্কার করা হলে কী হবে, ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি আগামীতে এই খালে খাটালগুলোর গোবর ও আবর্জনা ফেলা বন্ধের। এই খালকে আগের রূপে ফিরিয়ে দিতে বারংবার পৌরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন সকলের কাছেই তৎবির করেছেন পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সেভ ট্রি সেভ ওয়ার্ল্ডের হুগলি জেলার সম্পাদক শেখ মাবুদ আলি।
তিনি জানান তাঁরা স্থানীয় এলাকার পরিবেশের ভারসম্য বজায় রাখতে ডানকুনির এই খালটিকে বাঁচাতে বদ্ধ পরিকর। আর এই উদ্দেশ্যেই তাঁদের স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের হুগলি জেলার পক্ষ থেকে তিনি ৯০০ মানুষের স্বাক্ষর সহ জেলা শাসক, পুলিশ প্রশাসন, ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কে আবেদন করেছেন এই খালের পুনরুদ্ধারের জন্য। এখন দেখার ওই এলাকার পরিবেশকে বাঁচাতে ও জল নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নত করতে প্রশাসন কত তাড়াতাড়ি আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.