লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভায় থাকছে নতুন চমক
নিউজ ডেস্ক :
রাত পোহালেই তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। শেষ পর্যায়ে প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে।পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে চারদিক। বিশেষ র্যাম্প যুক্ত থাকবে স্টেজের সঙ্গে। জনগর্জন সভার জন্য মোট ৩টি মঞ্চ করা হয়েছে। একটিতে থাকবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। অন্য দুটির একটিতে বুদ্ধিজীবী, আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা। তৃতীয় মঞ্চে থাকবেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা। মোট ৩৪০ ফুটের একটি র্যাম্প তৈরি হয়েছে যার মধ্যে দিয়ে মমতা-অভিষেকরা জনতার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন তৃণমূলের ব্রিগেডে থাকতে পারেন বাংলার বাইরের তৃণমূল নেতৃত্বরাও। থাকতে পারেন সুস্মিতা দেব, সাকেত গোখলে, মুকুল সাংমা, রাজেশ ত্রিপাঠি, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, সাগরিকা ঘোষদের মতো ব্যক্তিত্ব। বিকেল মঞ্চে এসে প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে যেদিন ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল, সেদিন বিজেপিকে অভিষেক হুঁশিয়ারি জারি করেছিলেন , 'বাংলার গর্জন কি, তার একটা ট্রেলার বহিরাগত, বাংলা বিরোধীরা ১০ মার্চ কলকাতায় দেখবে। সিনেমা টা তো ভোটে দেখবে'। সঙ্গে চ্যালেঞ্জ, 'যাঁরা বড় বড় কথা বলে বেড়ায়, যদি পাল্টা সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকে, তাহলে ব্রিগেডের জায়গাটা তো রাজ্য সরকারের নয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। পাল্টা ১১ তারিখ বা ১২ তারিখ একটা সভা করে দিন, কত ক্ষমতা একবার দেখাক'। রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় যোগ দিতে ইতিমধ্যেই লোকজন আসতে শুরু করেছেন। গাড়ির পার্কিং যাতে ঠিক মতো হয় তার কড়া ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিস। আজ রাত ১০টা থেকে মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুলিসের একটি বাহিনী। তাঁরাই ব্রিগেডে আসা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করবেন।