নয়াদিল্লি, ১৬ এপ্রিল ২০২৫:
ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৫–কে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে আজ ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে শুরু হলো এক গুরুত্বপূর্ণ আইনি লড়াই। এই মামলার প্রধান আবেদনকারী হলেন পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধি নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর পক্ষ থেকে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের পরিপন্থী।
নওশাদ সিদ্দিকি সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন,
“এটি শুধুমাত্র একটি আইনের বিরুদ্ধে লড়াই নয় – এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা, সংবিধান ও জনগণের অধিকার রক্ষার লড়াই। আমরা গণতান্ত্রিক পথে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”
আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি গণআন্দোলনের ডাক
সুপ্রিম কোর্টের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলেও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ, ধর্মনিরপেক্ষ এবং সংবিধানসম্মত আন্দোলনও চলছে। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, সভা-সমাবেশ, প্রতিবাদ কর্মসূচি — সবই এক বৃহত্তর নাগরিক উদ্যোগের অংশ।
নওশাদ সিদ্দিকি জানান, এই আন্দোলনে তিনি কোনও রাজনৈতিক দল নয়, বরং দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর আহ্বান –
“এই লড়াইয়ে সকল ধর্ম-বর্ণ-ভাষার মানুষকে পাশে চাই। আমরা আদালতের ভেতরে যেমন লড়ছি, তেমনই রাস্তায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকেও লড়বো। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
আশা ও প্রত্যাশা
ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৫ এর বিরুদ্ধে এই লড়াই এখন একটি জাতীয় গুরুত্বের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের ভবিষ্যৎ রায়ের দিকে যেমন দৃষ্টি থাকবে, তেমনই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলবে বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।