নিউজ ডেস্ক - সেপ্টেম্বর মানেই উৎসবের শুভ সূচনা। আগামী শনিবার গণেশ পুজো আবার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বিশ্বকর্মা পুজো। কিন্তু মৃৎশিল্পীদের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে টানা বৃষ্টি। বিক্ষিপ্ত ভাবে দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ার ফলে, মুহূর্তের মধ্যেই জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কুমোরপাড়াতে। বাংলার বিভিন্ন স্থানে বিশ্বকর্মা পুজর প্রস্তুতি তুঙ্গে। পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্প শহর হলদিয়া, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, কাঁথি, তমলুক শহরে দুর্গাপুজোর মতোই বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য জনপ্রিয়।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো।আর সেই পুজোর প্যান্ডেল, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করার জন্য দ্রুততার সাথে কাজ করা হচ্ছে।কারন হাতে আর বেশি সময় নেই।কিন্তু সেই কাজের মধ্যেই বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বৃষ্টি। যখন তখন বৃষ্টি হওয়ার কারণে রোদে প্রতিমা রেখে শুকানোও ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।ফলে বাধ্য হয়ে প্রতিমা শিল্পীরা আগুন দিয়ে প্রতিমা শুকানোর কাজ শেষ করচ্ছেন। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সময় লাগছে অনেক বেশি। শিল্পীরা বচ্ছেন যে, গত কয়েক বছরে বিশ্বকর্মা পুজোর সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েচ্ছে। আগে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলেই পুজোর আধিক্য ছিল কিন্তু এখন জেলার নানা প্রান্তে এই পুজো ছড়িয়ে পরেচ্ছে। এমনিতেই চলতি বছর প্রতিমা নির্মাণের খরচ বেড়েছে। আর তার সাথে সাথে আবার আলাদা করে কেরোসিন তেলের মাধ্যমে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিমা শুকাতে খরচও বেড়ে যাচ্ছে। শিল্পী স্বরূপ ভট্টাচার্যের জানাচ্ছেন, এক দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে এবং অন্যদিকে পুজোকর্তাদের খরচ বৃদ্ধির জেরে সমস্যা বেড়েছে। আর বৃষ্টি হলে প্রতিমা তৈরির খরচ বেড়ে যায়। শিল্পী নমিতা ভট্টাচার্য বলেন, “বৃষ্টির জন্য খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বারবার প্লাস্টিক নিয়ে ছুটছি। রোদে প্রতিমা শুকনো না হলে তখন তাপে শুকাতে হবে।”